বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৩

পাখির বাসা

দ্বন্দ্ব-সমাস
ওরা নাকি তোমার নামে লিখল কীসব দু-চার কলাম?
আমি ওসব গা করিনা - এই ভরসা রাখতে পারো:
আমি নাহয় তোমায় নিয়েই কষ্ট করে নষ্ট হলাম।

পথের গল্প পথেই বাড়ে, ঘরটা আমার পাখির বাসা;
নিয়মিত সত্য শোনার এখন আমার নেই পিপাসা
বিশেষ করে সত্য যখন উপমিত কর্মধারয়।

ওরা নাকি গল্পগুলো গড়তে গড়তে চমকে ওঠে
ভাবছে ওরা, পাখির বাসা গড়ছে অলুক তৎপুরুষে;
ওরা তখন পান-সিগারেট, সমস্ত-দিন চায়ের দোকান

আমি তোমার দ্বন্দ্ব-সমাস; নিজেকে তাই ক্ষান্ত দিলাম।




কানামাছি

ঝড়ো-হাওয়ার রোজ যাতায়াত পাখির বাসা'র কাছাকাছি
খড়-কুটো'টাও দামী এখন, জীবন শেখায় 'উর্ধ্বগতি'
চোখের বাষ্পে হারিয়ে গেল আকাশপটের 'অরুন্ধতী'
প্রেমা, ওসব তুচ্ছ কর? আমরা অনেক ভাল আছি !

আলো গায়ে জোনাক বুঝি খেলতে পারে কানামাছি?
কোন বিধাতা মগ্ন হয়ে গড়ছে তখন এই জ্যামিতি:
ছোট্ট ঘরে টের পাওয়া যায় রূপকথাটা'র উপস্থিতি;
হোক না সেটা চোখের জলে - আমরা ভীষণ ভাল আছি।


[অরুন্ধতী -- উত্তর আকাশের সুন্দর এক জোড়া-তারা, বা 'যুগল-তারা'। এই তারাদু'টা একে অন্যের আকর্ষণে আটকা পড়ে গেছে; আর একজন আরেকজনকে ঘিরে এভাবেই ঘুরে যাচ্ছে মহাকাল ধরে... অরুন্ধতী'কে দেখতে হলে স্পষ্ট চোখের দরকার। স্পষ্ট আকাশ'ও...
পাখির বাসা দুলতে থাকে; আকাশটাও। আকাশ'টাও!]


অন্যত্র প্রকাশঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/shahedk/29881750

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন