শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৩

দুঃসময়

ওরা লুটে-পুটে সব খেয়ে গেল তবে কিছু রেখে গেলে পারতো
দেখো নগরীতে আজ শিশুরা কেমন ভয়ানক শীতে আর্ত


ওরা মানুষের নামে বস্তু গড়েছে, বস্তুর নামে ঈশ্বর
ওরা খেয়ালের বশে জ্যামিতি বানালো এলোমেলো মহাবিশ্ব'র
তবু 'প্রমাণিত' হতে ঢের বাকি ছিল - গড়া সেই উপপাদ্যের
ফলে খাদ বেড়ে চলে কড়া অনুপাতে মনোদৈহিক খাদ্যের

আর যারা বাকি ছিল - বাঁচাবার মত - তারা শেষমেশ ব্যর্থ
ওরা তছনছ করে নিয়ে গেল সব - কিছু রেখে গেলে পারতো

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৩

লিটল গার্ল

কাজ শেষ করে সায়েম যখন গাজীপুর চৌরাস্তায় এসে পৌঁছাল, ততক্ষণে প্রায় সন্ধ্যা নেমে গেছে। দুপুরের পরপরই ঘোষণা হল - আগামীকাল হরতাল; তখনই মনে মনে প্রমাদ গুণেছে সায়েম, আজ বাসায় ফিরতে খবর আছে। চৌরাস্তায় এসে দেখে জনসমুদ্র। ঢাকামুখী কোনও বাস নেই। ময়মনসিং-শেরপুর থেকে আসা লংরুটের বাস তো নেই-ই, লোকাল বাস-ও খুব কালে-ভদ্রে একটা দুটা আসছে, আর মুহুর্তেই যাত্রী ওভারলোডেড হয়ে ছুটে চলে যাচ্ছে।
এ ধরণের ভীড় ঠেলে বাসে ওঠা সায়েমের পক্ষে সম্ভব না। এনোক্লোফোবিয়া না কী যেন বলে, সায়েমের বোধহয় ওই সমস্যাটা আছে। ভীড়-গ্যাঞ্জামের মধ্যে সে থাকতে পারে না, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর সায়েম উল্টাপথে হেঁটে রাস্তা পার হল। ঢাকামুখী বাস যেদিকে যাচ্ছে, সেদিকে না; বরং যেদিক থেকে বাসগুলো আসছে, রাস্তার সেই পারে গিয়ে দাঁড়াল সায়েম। এই পারে লোকজন বাস থেকে নামে, তখন যদি একটু কম ভীড়ের মাঝে বাসে উঠে পড়া যায়।

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৩

লিটল বয়



গল্পটা শেষ হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগে থেকে আমি গল্পটা বলতে শুরু করলাম।

সাতসকালের গল্প। তিনতলার ওই নীল-শার্ট পড়া ছেলেটা ভোরবেলা থেকেই তার পুরানো গীটারে হালকা রিদম ধরেছে। নীচতলার ফলের দোকানদার তার দোকানের ঝাঁপ খুলে বেসাতি সাজাতে ব্যস্ত। রাস্তার ওপারে তিনজন বুড়োমানুষ চা-হাতে আড্ডায় বসা। যুদ্ধের অবস্থা খুব খারাপ, রাজধানীতে যখন-তখন বোমাবর্ষণ হচ্ছে - তাই এসব গল্প ছাড়া আড্ডায় অন্য কোনও টপিকের সম্ভাবনা আপাতত দেখা যায় না।