ইচ্ছেগুলো কাঁচপোকা সব
এবার আমি ফিরছি তোমায় ভেবে
তোমায় ভেবে দারুণ কৌতূহলে;
তুমি কি আর তেমন করে নেবে
যেমন আমি লিখেছিলাম জলে?
এখন আমার কাঁচপোকাদের দল
আগুন ছাড়াই মাথা কুটে মরে।
জানো, ওদের ওটুকুই সম্বল;
জানবে তুমি ফিরে আসার পরে।
সূর্যটাকে আড়াল করে চুমি
মেঘেরা খুব নাচছিল মিছিলে;
সূর্যমূখী হতে চেয়ে তুমি
মেঘগুলোকেই মলিন করে দিলে !
আচ্ছা, তুমি অন্য কিছু হও?
অন্য কিছু - যা তোমার ইচ্ছে !
এক্ষুণি হও ! শব্দগুলো আমার -
কারা যেন সব কেড়ে নিচ্ছে !
পারছি না আর করতে যে বর্ণনা -
তুমি এমন জলের উপর ফুল;
নাকি ফুলের উপর জলের কণা?
নাকি আমার সব উপমাই ভুল?
যা হবে হোক, থাকব না হয় ভুল-এ
ভাবতে চাইনা এরচে' বিস্তারিত,
আমার কপাল দাও ছুঁয়ে আঙুলে?
ভাবছে কপাল, 'সত্যি যদি দিত !'
কাঁচপোকাদের নিত্য আনাগোণা
তোমার মনেই বাঁধতে দিচ্ছ বাসা?
অমন খেয়াল রাখতে হয় না সোনা,
আমি আবার সেই ক্ষ্যাপা দূর্বাশা...
এবার তবে জোনাক খুঁজতে যাবে?
এবার আমি ফিরছি যে উদ্বেগে
মাঝরাতে যেই পৌঁছেছি বন-বাড়ি,
তুমি হয়তো তখন ভীষণ রেগে;
ভয় পেয়ে তাই আস্তে কড়া নাড়ি !
বাড়ির সামনে পুকুরজলে চাঁদ
ঝোপের আড়ে ঝিঁ-ঝিঁ পোকা'ও ভীত,
নিথর চোখ কি পেঁচার প্রতিবাদ?
নাকি মশাই ভীষণ আনন্দিত !
পাকা ধানের গন্ধ বাতাসজুড়ে
হাওয়া-ঘরের ছোট্ট বাতায়নে।
তবু দেখো, কাঁচপোকারা উড়ে
তোমার হাতে কিংবা আমার মনে !
তুমি এসে কপাট খুলে দিলে।
এক-কামরা'র ছোট্ট হাওয়া-ঘরে,
দমকা হাওয়ার তীব্রতা-মিছিলে
কাঁচপোকারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে...
চিরকালীন গল্পগুলো শেষ -
খাটের উপর জল-মশারী'র তলে;
চাঁদটাও ঘুম, রাত হয়েছে বেশ,
এবার দেখ কোথায় জোনাক জ্বলে !
মাঝরাতে যেই পৌঁছেছি বন-বাড়ি,
তুমি হয়তো তখন ভীষণ রেগে;
ভয় পেয়ে তাই আস্তে কড়া নাড়ি !
বাড়ির সামনে পুকুরজলে চাঁদ
ঝোপের আড়ে ঝিঁ-ঝিঁ পোকা'ও ভীত,
নিথর চোখ কি পেঁচার প্রতিবাদ?
নাকি মশাই ভীষণ আনন্দিত !
পাকা ধানের গন্ধ বাতাসজুড়ে
হাওয়া-ঘরের ছোট্ট বাতায়নে।
তবু দেখো, কাঁচপোকারা উড়ে
তোমার হাতে কিংবা আমার মনে !
তুমি এসে কপাট খুলে দিলে।
এক-কামরা'র ছোট্ট হাওয়া-ঘরে,
দমকা হাওয়ার তীব্রতা-মিছিলে
কাঁচপোকারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে...
চিরকালীন গল্পগুলো শেষ -
খাটের উপর জল-মশারী'র তলে;
চাঁদটাও ঘুম, রাত হয়েছে বেশ,
এবার দেখ কোথায় জোনাক জ্বলে !
হাওয়াঘরে জল-জোছনা'র রাতে
হাওয়াঘরের পরে বিশাল মাঠে
জোছনার হাট; ধান কাটা সব সারা,
মাতাল হাওয়া কী যেন বিভ্রাটে
চাইল এবার নামুক বৃষ্টিধারা।
ফুলগুলো বেশ ভয় পায় ইশারা
মেঘগুলো কী অত্ত বুঝতে পারে?
বনলতা সেন-এর মত যারা -
মানুষ তাদের খুব পুড়িয়ে মারে !
জানালা'টায় দু'চোখ পেতে আমি
কাঁচপোকাদের দিচ্ছি অবাধ ছেড়ে।
বললে তুমি, 'করছ কী পাগলামি !'
হাত বাড়ালে কাঁচের চুড়ি নেড়ে।
খুঁজছি তখন চাঁদটা চতূর্দিকে
তুমি এসে কী নিদারূণ ছলে,
আমার কাছেই বৃষ্টির রং শিখে
চাঁদ ঢাকতে মেঘ আঁকো কৌশলে !
আচ্ছা আঁকো, তবু পাশেই থাকো?
তুমি এত দূরে - এত্ত দূরে !
ভীষণ বানে ভেসেই গেল সাঁকো
বাঁধভাঙা ওই জোছনা'র রোদ্দুরে...
স্বপ্নগুলো কোলবালিশে ফেলে
নরম রোদে জোছনা বাড়ায় দেনা;
খুঁজছে কী যে তোমার 'পাগল ছেলে'
ওসব তুমি কক্ষনো বুঝবে না !
জোছনার হাট; ধান কাটা সব সারা,
মাতাল হাওয়া কী যেন বিভ্রাটে
চাইল এবার নামুক বৃষ্টিধারা।
ফুলগুলো বেশ ভয় পায় ইশারা
মেঘগুলো কী অত্ত বুঝতে পারে?
বনলতা সেন-এর মত যারা -
মানুষ তাদের খুব পুড়িয়ে মারে !
জানালা'টায় দু'চোখ পেতে আমি
কাঁচপোকাদের দিচ্ছি অবাধ ছেড়ে।
বললে তুমি, 'করছ কী পাগলামি !'
হাত বাড়ালে কাঁচের চুড়ি নেড়ে।
খুঁজছি তখন চাঁদটা চতূর্দিকে
তুমি এসে কী নিদারূণ ছলে,
আমার কাছেই বৃষ্টির রং শিখে
চাঁদ ঢাকতে মেঘ আঁকো কৌশলে !
আচ্ছা আঁকো, তবু পাশেই থাকো?
তুমি এত দূরে - এত্ত দূরে !
ভীষণ বানে ভেসেই গেল সাঁকো
বাঁধভাঙা ওই জোছনা'র রোদ্দুরে...
স্বপ্নগুলো কোলবালিশে ফেলে
নরম রোদে জোছনা বাড়ায় দেনা;
খুঁজছে কী যে তোমার 'পাগল ছেলে'
ওসব তুমি কক্ষনো বুঝবে না !
অন্যত্র প্রকাশঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/shahedk/29538978
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন